এবার গার্মেন্টসকর্মী রুবেলকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। এরপরই বিশ্ব গণমাধ্যমের আলোচনায় দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।
যেহেতু সাকিব হত্যা মামলার আসামি তাই তাকে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রশ্নের সম্মুখীন হবে এটাই স্বাভাবিক, হয়েছেও তাই। আজ শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে মিডিয়ার মুখোমুখি হয়েছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসান। সেখানেই সাকিবের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হন তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যে কোনো মামলায় অপরাধীর ইনভলমেন্ট (সম্পৃক্ততা) থাকে। আন্দোলনের বিরুদ্ধে যারা অর্থ, পরামর্শ ও মিডিয়াতে উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন তাদের বিষয়ে তদন্ত হবে।
সাকিব যেহেতু জুলাইয়ের আগে থেকেই বাংলাদেশের বাইরে তাই কিভাবে চলবে মামলার কার্যক্রম। এমন প্রশ্নের উত্তরে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যে কোনো মামলাতেই আইন অনুযায়ী এভিডেন্স (সাক্ষ্যপ্রমাণ) সংগ্রহ করা হবে৷ মামলা তদন্তে এভিডেন্স অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে গার্মেন্টসকর্মী রুবেলকে হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের বিরুদ্ধে আদাবর থানায় একটি হত্যা মামলায় দায়ের হয়। যেখানে আসামি হিসেবে রয়েছেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, ওবায়দুল কাদের, ব্যারিস্টার সুমন, নায়ক ফেরদৌসসহ ১৬৫ জন আসামি। এ মামলায় সাকিব ২৮ নম্বর আসামি। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করা হয়।
এদিকে আন্দোলনকে ঘিরে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইতোমধ্যে কিছু পুলিশের নামে মামলা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা একটি চলমান প্রক্রিয়া। তুলনামূলক সময় লাগতে পারে। বিভাগীয় ব্যবস্থার বিষয়টিও চলমান রয়েছে। কেউ পলাতক কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে মাইনুল হাসান বলেন, তাদের বিষয়ে এখনো আমাদের কাছে তথ্য-উপাত্ত নেই।